নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির জন্য অনুরোধ
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত স্থানগুলোতে পশু কোরবানির জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঈদের দিন দুপুর ২টার পর থেকে পরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারিত হবে বলে ঢাকার দুই মেয়র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে উভয় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনের ১০ হাজার ৫৪৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কোরবানির বর্জ্য অপসারণে দুই লাখ ১০ হাজার চটের বস্তা ও পচনশীল পলিব্যাগ বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নগরীর বর্জ্য অপসারণে পর্যাপ্ত জনবল, যন্ত্রপাতি, মালামাল, পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নগরবাসীকে দ্রুত পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডে সাত হাজার ৩০৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে থাকবেন। তাঁরা ডিএসসিসির ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণেও কাজ করবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য তিন হাজার ২৩০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে থাকবেন। ঈদে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ডিএনসিসিতে দুটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। কোরবানি দেওয়ার জন্য ডিএনসিসি ৬৪৮টি স্থান নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১৯৬টি স্থানে মাওলানা ও কসাইসহ যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পশু জবাইয়ের পর ফিনাইল ও স্যাভলন মিশ্রিত পানি দিয়ে প্রতিটি স্থান দ্রুত পরিষ্কার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দ্রুত পশুর বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দুই লাখ পলিব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় এলাকায় মাইকে প্রচার ও সাড়ে পাঁচ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ
=====